Published Date : 27th Nov, 2025 Published by Scolars Bangladesh Scoiety
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসের পরবর্তী উপাচার্য এবং প্রধান নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ওসামা এস এম খান। তিনি প্রথম কোনও বাংলাদেশি, যিনি এখানে জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা শেষ করে বিদেশে পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্য তথা ইউরোপের কোনও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী পদে আসীন হলেন।
প্রফেসর খান বর্তমানে অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটির সহ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দীর্ঘ ও কঠোর বাছাই প্রক্রিয়ার পর তাকে এই পদের জন্য মনোনীত করা হয়। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসের বর্তমান উপাচার্য ড. বেন ক্যালভার্টের স্থলাভিষিক্ত হয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে নেতৃত্ব দেবেন।
ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এর আগে বাংলাদেশিরা সম্মানজনক ‘চ্যান্সেলর’ পদে দায়িত্ব পালন করলেও নির্বাহী প্রধান বা ভাইস চ্যান্সেলর পদে এই প্রথম কোনও বাংলাদেশি নিয়োগ পেলেন। ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোতে ‘চ্যান্সেলর’ এবং ‘ভাইস চ্যান্সেলর’-এর মধ্যে গুণগত পার্থক্য রয়েছে। চ্যান্সেলর পদটি মূলত আলংকারিক বা সম্মানসূচক। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটিতে এবং মানবাধিকার আইনজীবী আইরিন খান স্যালফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে চ্যান্সেলর পদে আছেন।
অন্যদিকে, ভাইস চ্যান্সেলর হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অ্যাকাডেমিক প্রধান। এই পদে পৌঁছাতে একজন শিক্ষাবিদকে প্রভাষক থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক নেতৃত্বের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করতে হয়। বাংলাদেশে প্রাথমিক ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে যুক্তরাজ্যের মূলধারার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর খানের এই শীর্ষ নেতৃত্ব গ্রহণ তার মেধা ও দীর্ঘ অধ্যবসায়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশ থেকে ব্রিটেনের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে
প্রফেসর খানের এই সাফল্যের যাত্রাপথ অত্যন্ত বর্ণাঢ্য। তার শিক্ষাজীবনের ভিত্তি রচিত হয়েছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এ। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সারে এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জাজ বিজনেস স্কুল থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষকতায় আসার আগে তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং ও করপোরেট ফিন্যান্স খাতে সফল ক্যারিয়ার গড়েছিলেন। বাস্তব কর্মক্ষেত্রের এই অভিজ্ঞতা তার পাঠদান পদ্ধতি ও অ্যাকাডেমিক কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, যা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষা খাতে ২৫ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রফেসর খানের। অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের আগে তিনি ইউনিভার্সিটি অব সারে-তে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (অ্যাকাডেমিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও সোলেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘ডিরেক্টর অব লার্নিং অ্যান্ড টিচিং’ হিসেবে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। অ্যাস্টন ইউনিভার্সিটিতে তিনি ‘অ্যাস্টন ২০৩০ স্ট্র্যাটেজি’ বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ডিজিটাল রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
Do you think that the non-resident Bengalis should have the right to vote in the upcoming election? Justify your answer. What do you think will be the proper way to implement the voting system?